বুধবার, ০২ Jul ২০২৫, ০১:১৩ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

মহেশখালী কলেজে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি

জিকির উল্লাহ জিকু

মহেশখালী ডিগ্রী কলেজে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ে প্রভাষক পদে শিক্ষক (খন্ডকালীন) নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

বেসরকারী চাকুরী বিধি অমান্য করে খন্ডকালীন প্রভাষক পদে অবৈধ ভাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।কথা হলে জানান গভর্ণিং বডির অনেক সদস্য এবিষয়ে ভালোভাবে জানেন না। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অবৈধ সুবিধা আদায় করে এনিয়োগ দেন বলেও চাওর হয়েছে মহেশখালী কলেজ ক্যাম্পাসে।

তাঁর বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ রয়েছে করোনাকালীন সময়ে ছাত্রদের কাছ থেকে ফি আদায়ের। যার সম্মানী ভাতার স্বয়ং ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পকেটে গেছে।

সূত্র জানান, প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের অনুমোদন না নিয়ে, পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করে, কোন লিখিত বা মৌখিক পরীক্ষা না নিয়ে, অনেকটা গোপনে এনিয়োগ দেয়ার বিষয়ে কয়েক লাখ টাকার বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষকতার জন্য বাধ্যতামূলক এনটিআরসি’র সনদ বিহীন ওই পদে যোগ্যতা বিহীন অবৈধভাবে আইসিটি শিক্ষক (খন্ডকালীন) নিয়োগ বাতিলের দাবী উঠেছে সর্ব মহলে। এ নিয়োগের বিষয়ে কলেজ পরিচালনা পরিষদের সদস্যদের মধ্যে অনেকেই অবগত নন। এ বিষয়ে পরে জানতে পারায় কলেজ পরিচালনা পরিষদের সদস্যদের মাঝেও অসন্তোষ বিরাজ করছে।

“কভিডকালে পরীক্ষার অনুমতি নিতে হয়। যদি অনুমতি না নেন তাহলে সঠিক হয়নি। আর কোনো এসাইনমেন্ট পরীক্ষার নামে টাকা নেয়া যায় না”

প্রফেসর হোসাইন আহমেদ আরিফ ইলাহী
আঞ্চলিক পরিচালক, চট্টগ্রাম, মাউশি

কথা হলে পরিচলনা পরিষদের একজন সদস্য বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়ে কলেজ পরিচালনা করতে গিয়ে প্রশাসনিক কাঠামো, শিক্ষা কাঠামো ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে যার কারণে ‘ভারাক্রান্ত’ মহেশখালী কলেজের দুর্গতি যাচ্ছে না, ফলে নিয়োগেও দুনীর্তির মতো গুরুতর অভিযোগ প্রচার হচ্ছে। অনেক অভিভাবক নিরাশ হয়ে কলেজের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার পাচ্ছেনা না বলে সূত্র জানান। একজন পরিচালনা পরিষদের সদস্য বলেন অনেকটা কর্তার ইচ্ছায় চলে মহেশখালী কলেজ এমন পরিবেশ বিরাজ করছে এখন।

যেভাবে ছানাউল্লাহ’র নিয়োগ ও বিধি:
প্রাপ্ত তথ্যমতে, চলতি বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর মহেশখালী ডিগ্রী কলেজের পরিচালনা পরিষদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় পরিচালনা পরিষদের পর্যাপ্ত সদস্য উপস্থিত না থাকলেও ছানা উল্লাহকে আইসিটি শিক্ষক (খন্ডকালীন) হিসাবে নিয়োগ পত্র প্রদানে সুপারিশ করা হয়। বিস্ময়কর ব্যাপর হচ্ছে  এর একদিন পূর্বে ১২ সেপ্টেম্বর ছানা উল্লাহ কলেজে যোগদান করেন। ওইদিন কলেজের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষরও করেন তিনি। পরিচালনা পরিষদের সভায় নিয়োগ প্রদানের জন্য সুপারিশের পূর্বেই এ শিক্ষক যোগদান করেন কলেজে। কিন্তু ছানা উল্লাহকে আইসিটি শিক্ষক (খন্ডকালীন) নিয়োগ দেয়ার ক্ষেত্রে মানা হয়নি বেসরকারী চাকুরী বিধি। নেয়া হয়নি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদনও। প্রকাশ করা হয়নি কোন পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। নেয়া হয়নি লিখিত বা মৌখিক পরীক্ষা। নেই শিক্ষকতার জন্য বাধ্যতামূলক এনটিআরসি’র সনদও। এছাড়াও আইসিটি শিক্ষক (খন্ডকালীন) পদে যে যোগ্যতা বাধ্যতামুলক তাও নেই এ শিক্ষকের। অথচ ওই পদে আরো অন্তত ৫ জন প্রার্থী ছিলেন।

“যেকোনো স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা নিয়োগ দিতে হলে বিধিমোতাবেক পেপার বিজ্ঞপ্তি, লিখিত পরীক্ষা, মৌখিক পরীক্ষা নিতে হয়। আর এটা না হলে স্বচ্ছ নিয়োগ বলা যাবে না। আর এসাইনমেন্টের নামেও টাকা নিতে সরকারি বারণ আছে”

মো. নাছির উদ্দিন, জেলা শিক্ষা অফিসার, কক্সবাজার

বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা—২০১৮ ও ২০২১ এ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে প্রভাষক পদে শিক্ষাগত যোগ্যতা স্বীকৃত বিশ্যবিদ্যালয় হতে কম্পিউটার বিজ্ঞান/আইসিটি বিষয়ে চার বছর মেয়াদি ২য় শ্রেণীর স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রী অথবা স্বীকৃত বিশ্যবিদ্যালয় হতে কম্পিউটার বিজ্ঞান/আইসিটি বিষয় সহ স্নাতক ডিগ্রী এবং কম্পিউটার বিজ্ঞান/আইসিটি বিষয়ে চার বছর মেয়াদি ২য় শ্রেণীর স্নাতকোত্তর ডিগ্রী বাধ্যতামূলক। কিন্তু নিয়োগ দেয়া ছানা উল্লাহর এ শিক্ষকতা যোগ্যতার কিছুই নেই। (জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট কেউ জানাতে পারেনি) তার পরেও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কোন নীয়মনীতি না মেনে অনৈতিক সুবিধায় ছানা উল্লাহকে নিয়োগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। একইভাবে কলেজে বেসরকারী বিধি অমান্য করে অবৈধ ভাবে আরো ৫/৬ জন শিক্ষক (খন্ডকালীন) নিয়োগ দেয়ারও তথ্য রয়েছে। যে কারণে নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলাও চলমান রয়েছে বলে জানান কলেজের দাতা সদস্য মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন। এরপরও তাদের টনক নড়েনা।

যা বলেছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ:

আইসিটি শিক্ষক (ছানা উল্লাহ) নিয়োগে বিধি মোতাবেক (এনটিআরসি সনদ, পত্রিকা বিজ্ঞপ্তি, লিখিত পরীক্ষা—মৌখিক পরীক্ষা, শিক্ষাগত যোগ্যতা) হয়েছে কিনা প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা অনেক আগেই নিয়োগ হয়েছে।ওই পদ খন্ডকালীন, রেগুলার টিচার না, গেস্ট টিচার বলে, আইসিটি এটা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত সাবজেক্ট নয়। অনুমোদন লাগে কিনা প্রশ্নে ক্ষীণ কণ্ঠে না বলেন। ডিগ্রি, অনার্স এগুলা লাগে। ইন্টারে স্টুডেন্ট বেশি এজন্য খন্ডকালীন নিয়োগ। পেপার বিজ্ঞপ্তি, লিখিত পরীক্ষা—মৌখিক পরীক্ষা হয়েছে কিনা প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি সঠিক খেয়াল করতে পারছিনা। খন্ডকালীন আইসিটি শিক্ষক নিয়োগ (ছানাউল্লাহ) আমার সময়ে হয়নি। এটা গত অধ্যক্ষের (জসিম উদ্দিন) সময়ে হয়েছে। এটাতো আমি জানবোনা আমি। যেহেতু আপনার সময়ে অনুমোদন দিয়েছেন তখন অনুমোদনের আগে যাচাই বাছাই করেছেন কিনা? সদস্য সচিব হিসেবে যাছাই করা আপনার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে কিনা? বিধিমোতাবেক নিয়োগ না দিয়ে অনুমোদন দিলে অবৈধ নিয়োগ হবে? প্রশ্নের জবাবে আহমদ কবির (ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ) বলেন, ‘কাগজপত্র না দেখে আপনাকে জানাতে পারবোনা।’
নাম না বলার শর্তে পরিচালনা কমিটির একজন সদস্য রেজুলেশনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, গত ২৩ জুলাই ২০ ইং তারিখ একটি সুপারিশ ছিল এটি চূড়ান্ত সিন্ধান্ত নয়। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে ১৩ সেপ্টেম্বর ২১ ইং বর্তমান সভাপতি (উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে। যে বৈঠকে অধিকাংশ পরিচালনা কমিটির সদস্য অনুপস্থিত বলে জানাযায়।

করেনাকালীন সময়ে পরীক্ষার নামে ফি আদায় করেছেন অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ‘আমরা কোনো পরীক্ষা নিইনি।’ তখন জানতে চাওয়া হয় তাহলে ‘দ্বাদশ শ্রেণির প্রাক—নির্বাচনী পরীক্ষা—২১ ও একাদশ শ্রেণি ১ম সাময়িক (মূল্যায়ন) পরীক্ষা—২১ এর সম্মানী ভাতার তালিকায় আপনার নামে ১০ হাজার করে ২০ হাজার টাকা কিভাবে নিলেন এর জবাবে ইতস্তত হয়ে ‘দেখতে হবে’ বলে প্রতিবেদককে জানান।

এসাইনমেন্টের টাকা ভাগ:  
দৈনিক আজকের দেশবিদেশ এর কাছে পাওয়া এক ডকুমেন্টে ৫ এপ্রিল ২১ ইং ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বাক্ষরিত মহেশখালী কলেজ, দ্বাদশ শ্রেণীর প্রাক—নির্বাচনী পরীক্ষা—২০২১ সম্মানী ভাতার তালিকায় সবার উপরে তাঁহার অধ্যক্ষ আহমদ কবির নামে ১০ হাজার, ছরওয়ার কামাল (প্রভাষক ও হল সুপার) ৯ হাজার, উজ্জ্বল সরকার (প্রভাষক ও সহকারী) ৮ হাজার, মুহাম্মদ আজগর হোছাইন (প্রধান সহকারী) ৩ হাজার, আনচার উল্লাহ (নিম্নমান সহকারী) ৩ হাজার পাঁচশ, মোঃ শাহজাহান (কম্পিউটার অপারেটর) ১ হাজার পাঁচশ, এনামুল করিম (অফিস সহকারী,খন্ডকালীন) ১২শ, সুবাস চন্দ্র দে (পিয়ন) পরিমল কান্তি দাশ (পিয়ন) ১ হাজার ৫শ, জসিম উদ্দিন (পিয়ন) ১ হাজার ৫শ, নুপুর পাল (পিয়ন) ১ হাজার করে বরাদ্ধ পান।

দ্বাদশ শ্রেণির প্রাক- নির্বাচনী পরীক্ষা-২০২১ সম্মানী ভাতার তালিকা

চলে যেতে বললে চলে যেতে হবে:

মহেশখালী ডিগ্রী কলেজের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহফুজুর রহমান, ‘এটা খন্ডকালীন টিচার নিয়োগ, যখন থাকতে বলবে থাকবে, চলে যেতে বললে চলে যেতে হবে, স্থায়ী নিয়োগ নয়।’ ছানা উল্লাহর নিয়োগ নিয়ে এমন মন্তব্যের পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক যেকোন (খন্ডকালীন এবং শূন্য পদে) নিয়োগে বিষয়ে প্রজ্ঞাপন (বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবলকাঠামো ও এম.পি.ও নীতিমালা—২১ ইং) এর দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানতে চাইলে তখন তিনি বলেন, ‘এটা বছর তিনেক আগেই নিয়োগ হয়েছিল বলে আমি জানি। তখন জানতে চাওয়া হয় গত ২৩ জুলাই ২০ ইং তারিখ এক রেজুলেশনে প্রস্তাব করা হয়েছিল মাত্র।’ আপনার সভাপতিত্বে ১৩ সেপ্টেম্বর ২১ ইং চূড়ান্ত অনুমোদন কিভাবে দেয়া হয় উল্লেখ করে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি আরো ভালোভাবে খতিয়ে দেখবেন বলে জানান। মহেশখালী কলেজে এসাইনমেন্টের নামে শিক্ষার্থীদের থেকে টাকা আদায় করে অধ্যক্ষসহ আরো অনেকই টাকা ভাগ করেছেন বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি জানেন না বলে জানান। প্রতিবেদক থেকে তারিখ লিখে নেন।

পরিচালনা পরিষদ সদস্যরা অনেকই জানেন না:
দাতা সদস্য মো. আলতাফ হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ছানা উল্লাহর নিয়োগ কিভাবে হয়েছে তিনি অবগত নন। বৈঠকেও তিনি উপস্থিত ছিলেন না। তিনি আরো জানান, এসাইনমেন্টের নামে টাকা গ্রহণ এবং ভাগবাটোয়ারা বিষয়েও জানেনা। তবে দৃঢ়ভাবে বলেন, এভাবে চলতে পারেনা একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আগামী মিটিংয়ে বিষয়গুলো গুরুত্বের সাথে বলা হবে শিক্ষার্থীদের স্বার্থে।’

প্রতিষ্ঠাতা সদস্য শাহজাহান সিরাজ লিটন তিনিও এসাইনমেন্টের নামে টাকা ও নিয়োগের পুরো প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানে না বলে অসন্তুষ্ট মনে বলেন, ‘তিনি পরিচালনা পরিষদে সর্বকনিষ্ঠ সদস্য তারপর কলেজের স্বার্থে সঠিক কথা বলবেন। অবৈধ নিয়োগ হলে তিনি দায় নিবেন না।’

শিক্ষক প্রতিনিধিকে অবহেলা:
শিক্ষক প্রতিনিধি এহাছানুল করিম বলেন, ‘আপনার জানতে চাওয়া খন্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগ ও এসাইনমেন্টের টাকা বিষয়ে টোটালি তার জানা নেই।শিক্ষক প্রতিনিধি হলেও মেয়াদ শেষ হয়েছে বলে অজুহাতে আমাকে এড়িয়ে যান। অথচ কডিভকালে গভর্ণিং বডির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। তারপও অজানা কারণে অনেক কিছু আমাদের অজানা থেকে যায়। কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি হলেও আমি নিয়োগ বোর্ডের মেম্বার নয়। বিধিবর্হিভুত কোন অফিসিয়াল কাজ হোক আমি চাইনা।’

জেলা শিক্ষা অফিসার মো. নাছির উদ্দিন জানান, ‘যেকোনো স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় নিয়োগ দিতে হলে বিধিমোতাবেক পেপার বিজ্ঞপ্তি, লিখিত পরীক্ষা, মৌখিক পরীক্ষা নিতে হয়। আর এটা না হলে এটাকে স্বচ্ছ নিয়োগ বলা যাবেনা। আর এসাইনমেন্টের নামেও টাকা নিতে সরকারি বারণ আছে।’

জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, আঞ্চলিক পরিচালক, প্রফেসর হোসাইন আহমেদ আরিফ ইলাহী বলেন, ‘যদি কভিড কালে ছাত্রদের কাছ থেকে পরীক্ষা নিতে গেলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনুমতি নিতে হয়। যদি অনুমতি না নেন তাহলে সঠিক হয়নি। তিনি আরো জানান, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীতো জানিয়েছে দিয়েছেন কডিভ কালে কোন এসাইনমেন্ট নামে ছাত্রদের কাছ থেকে কোনো ফি গ্রহণ করা যাবে না। যেটা সারা দেশের মানুষই জানেন। কলেজে অনিয়ম দুনীর্তি ঘটে থাকলে সংশ্লিষ্ট দপ্তর অবশ্যই তদন্ত করে বিধিমোতাবেক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

প্রাপ্ত তথ্যে আরো জানা যায়, কলেজে বেশ কয়েকটি শুন্য পদ থাকলেও এনটিআরসি’তে চাহিদা প্রেরণ করা হচ্ছেনা। বরং এসব শুন্য পদে খন্ডকালীন শিক্ষক দিয়ে অবৈধ সুবিধা আদায় করছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। এছাড়াও নানা বিষয়ে আর্থিক অনিয়মেরও অভিযোগ রয়েছে।দীর্ঘদিন অধ্যক্ষ নিয়োগের প্রক্রিয়া নিয়ে অজানা কারণে শিথীলতা। সার্বিক বিষয়ে তদন্তপুর্বক দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন মহেশখালীর সুধী সমাজ।

ভয়েস/ জেইউ।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION